বইয়ের বিস্তারিত

Book Name : নিষ্কলঙ্ক বধূ
Author Name : সাহাদত হোসেন খান
Price : Tk.250/=
ISBN Code : 978-984-8800-34-8









Book Details :

এ উপন্যাসের ঘটনা ও চরিত্রগুলো কাল্পনিক হলেও বাস্তব জীবনে এমন ঘটনা ও চরিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। শাকিলা হলো একটি কেন্দ্রীয় চরিত্র। মুরাদ ছিল তার প্রাইভেট টিউটর। সেই সূত্রে তাদের প্রেম এবং বিয়ের মধ্য দিয়ে তাদের প্রেমের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে। শাকিলা জানতে পারে সে মুরাদকে বিয়ে করায় মাস্তান সেলিম ক্ষেপে গেছে। সেলিম শাকিলার স্বামী মুরাদকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে। তাই অনুনয়-বিনয় করে শাকিলা স্বামীকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। বিদেশে মুরাদ চাকরি পায়। শাকিলার নামে মুরাদ দেশে টাকা পাঠাতো। তার মনে কত আনন্দ! একদিন দেশে ফিরে এসে জমি কিনে বাড়ি করবে। স্ত্রীকে নিয়ে সুখে থাকবে। কিন্তু বিধি বাম। দুশ্চরিত্র সেলিম শাকিলার সর্বনাশ ঘটানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। আরেক প্রভাবশালী মাস্তান মিল্টন ছিল সেলিমের বন্ধু।  শাকিলাকে পাওয়ার জন্য সে মিল্টনকে ধরে। মিল্টন শাকিলার পিতা রশীদ সিকদারের সাথে ভাব জমায়। মুরাদ বিদেশ থেকে শাকিলার কাছে চিঠি পাঠাতো। মিল্টন এসব চিঠি মেরে দিতো। সে মুরাদের হাতের লেখা অনুকরণ করতো। এভাবে সে একটি জাল তালাকনামা তৈরি করে। স্বামীর চিঠি না পাওয়ায় শাকিলার মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। সে অনেকের কাছে শুনেছিল বাংলাদেশের ছেলেরা বিদেশে গিয়ে বিদেশি বউ নিয়ে দেশে আসে। ঠিক তখনি সে একটি তালাকনামা পায়। তার সন্দেহ হয়। কিন্তু যাচাই করা সম্ভব ছিল না।  শাকিলা বিশ্বাস করে ফেলে যে, স্বামী তাকে সত্যি তালাক দিয়েছে। শাকিলা মুক্তবিহঙ্গ। মিল্টন তাকে ফুসলিয়ে নিজের অফিসে চাকরি করতে বাধ্য করে। এক ছদ্মবেশী ‘রহমান সাহেবের’ সাথে শাকিলা কক্সবাজারে বেড়াতে যায়। ছদ্মবেশী রহমান সাহেব ছিল সেলিম। সেলিমের সাথে শাকিলার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু তার সতীত্ব ছিল অক্ষত। সে ছিল নিষ্কলঙ্ক। কিন্তু কিভাবে? তাই পড়–ন ‘নিষ্কলঙ্ক বধূ’ শিরোনামে এই উপন্যাস।